ভোট এলেই প্রতিশ্রুতি আসে : বেহাল রাস্তায় দুর্ভোগ নিত‍্যসঙ্গী পারিজাতনগর এর বাসিন্দাদের

3rd September 2020 1:58 pm বর্ধমান
 ভোট এলেই প্রতিশ্রুতি আসে : বেহাল রাস্তায় দুর্ভোগ নিত‍্যসঙ্গী পারিজাতনগর এর বাসিন্দাদের


সুব্রত চক্রবর্তী ( মেমারী ) : মেমারি এক  ব্লকের অন্তর্গত  নিমো ১ এবং নিমু ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে এলাকার মধ্য দিয়ে পারিজাত নগর বটতলা বাজার থেকে  মহেশডাঙ্গা ক্যাম্প পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার রাস্তা। দীর্ঘ ১০ থেকে ১২ বছর ধরে বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে। প্রায় এক থেকে দেড় বছর পূর্বে p.h.e. প্রকল্পের পানীয় জলের পাইপ বসানো সম্পন্ন হলেও, এখনও চালু হয়নি জল প্রকল্প। স্বাভাবিকভাবে ক্ষুব্ধ এলাকার বাসিন্দারা। পারিজাত নগর বটতলা বাজার থেকে মহেশডাঙ্গা ক্যাম্প পর্যন্ত এই রাস্তায় একাধিক খানাখন্দে ভর্ভি। দুর্ঘটনাও ঘটছে প্রতিনিয়ত। সম্প্রতি  ৯ বছরের একটি শিশু পড়ে গিয়ে তার পায়ে গভীর ক্ষতের সৃষ্টি হয়। মেমারি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে তার পায়ে প্রায় ১৪  টির মতন সেলাই পড়ে।  বৃহস্পতিবার সকালে যাত্রীবাহী একটি টোটো মেমারি থেকে পারিজাতনগর হয়ে ঐ বেহাল রাস্তা দিয়ে মহেশডাঙ্গা ক্যাম্প যাওয়ার পথে, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পার্শ্ববর্তী একটি বাড়িতে উল্টে গেলে আহত হয় টোটোর মধ্যে থাকাচালক সহ ৬ যাত্রী।
একই সাথে টোটোর সামনের অংশ ভেঙে  গুড়িয়ে।যায়, অল্পের জন্য বড় সড় দূর্ঘটনা থেকে রেহাই পায় স্থানীয় বাসিন্দারা।  ইতিপূর্বে বারংবার তারা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানালেও, পঞ্চায়েত বা পঞ্চায়েত সমিতির কোন আধিকারিক পরিদর্শন এবং পর্যাপ্ত কোন ব্যবস্থাই গ্রহণ করেননি। বছর দুয়েক পূর্বে এই এলাকাতে বড় গাড়ি ঢুকলে এলাকাবাসীরা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালে,  রাস্তা রক্ষণাবেক্ষণের আশ্বাস দিলেও বাস্তবে রূপায়িত হয়নি কোনকিছু। এই এলাকায় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র রয়েছে যদিও করোনা  মহামারীর জন্য বন্ধ বিদ্যালয় ও অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র। এলাকার মানুষের অভিযোগ, ভোটের সময় নেতাদের দেখা যায় এই এলাকায়। কিন্তু ভোট সম্পন্ন হতেই তাদের আর টিকিটাও খুঁজে পাওয়া যায় না।
তারা চাইছেন আসন্ন ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের পূর্বে যদি কোন রকম ভাবে এই রাস্তা নতুন করে রক্ষণাবেক্ষণ না হয়। সে ক্ষেত্রে তারা ভোট বয়কট এর মতন সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানান।তবে তারা আর ও জানান প্রশাসন কেন বার বার তাদের বঞ্চনা করছেন? কেন রাস্তা তৈরিতে এত উদাসীনতা?  ‌এখন দেখার বিষয় প্রকৃতপক্ষে কোন জনপ্রতিনিধি বা প্রশাসনের কোনো আধিকারিক এই সমস্যা সমাধানে রাস্তা রক্ষণাবেক্ষণের কাজে এগিয়ে আসেন কিনা।





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।